

জুলাই বিপ্লব চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানিয়ে সুজন ভাইরাল হন এবং তাকে ‘জুলাই চেতনার প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার জনপ্রিয়তা ও প্রতীকী অবস্থান বিবেচনায় তিনি গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন (মতিঝিল–শাহজাহানপুর–রমনা) থেকে এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
কিন্তু প্রথম ধাপের তালিকায় সুজনের নাম প্রকাশিত হয়নি। যদিও এনসিপি ঢাকা-৮ আসনটি ফাঁকা রেখেছে, যা এই সম্ভাবনাকে খোলা রাখছে যে পরবর্তী ধাপে তাকে প্রার্থী করা হতে পারে।
দলটির নেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রথম ধাপের পর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাকিগুলোর আসন বণ্টন চূড়ান্ত করা হবে। এনসিপির লক্ষ্য চলতি মাসের মধ্যেই সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতারা আরও জানান, ঘোষিত তালিকায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণকারী, সংস্কারের পক্ষে থাকা অন্য দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদেরও স্বাগত জানানো হবে।
রিকশাচালক সুজনের নাম তালিকায় না থাকায় অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে দলের ভেতরকার সূত্র বলছে, সুজনের প্রতি দলের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় তার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঢাকা-৮ আসনটি ফাঁকা রাখা—এনসিপির সেই সিদ্ধান্তই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সুজনকে এখনো আলোচনার বাইরে রাখা হয়নি।



