

কোম্পানীগঞ্জের সাধারণ মানুষের আস্থা ও হৃদয়ের প্রতীক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ, পিপিএম। অল্প সময়ের মধ্যে সততা, কর্মদক্ষতা এবং জনবান্ধবতার মাধ্যমে তিনি এলাকার মানুষের মন জয় করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, কোম্পানীগঞ্জ একটি পর্যটন ও পাথর কোয়ারি সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সব সময় চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু ওসি রতন শেখ, পিপিএম যোগদানের পর থেকেই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদক ও জুয়া নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া এবং অপরাধীদের কোণঠাসা করা হয়েছে।
তার এই দৃষ্টান্তমূলক সেবার স্বীকৃতিও পেয়েছেন। অক্টোবর মাসে সিলেট জেলার ‘শ্রেষ্ঠ ওসি’ হিসেবে তিনি সম্মাননা গ্রহণ করেন। থানায় সাধারণ মানুষ জানাচ্ছেন, রতন শেখ পিপিএম ছিলেন অত্যন্ত জনবান্ধব এবং থানায় কোনো হয়রানি হয়নি।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ওসি রতন শেখ যেখানেই যান, সাধারণ মানুষ সহজে তার দেখা পায়। তিনি থানার বাইরে বসে থেকেই সবার সমস্যা শুনে সমাধান করেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যে থানায় তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই তার আপনজনের মতো অনুভব করেছেন। তার সঙ্গে দেখা মাত্রই অনেকে আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে তাকে সম্মান দেখায়। থানার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সময়ও মনে হয় না যে তিনি একজন পুলিশ অফিসার; আজান হলেই নামাজ পড়তে মসজিদে চলে যান এবং গরিব ও অসহায় মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।

ওসি রতন শেখ জীবনে সর্বমোট চারটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন: আইজিপি পদক (বার), শুদ্ধাচার পুরস্কার, জাতিসংঘ শান্তি মিশন পদক এবং সর্বশেষ, দুই মাস আগে কোম্পানীগঞ্জ থানার কার্যক্রমের জন্য সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন।
ওসি রতন শেখ, পিপিএম বলেন, আমার প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের সেবা করা। আমি চাই মানুষ যেন সহজে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়। কোম্পানীগঞ্জের মানুষরা যে আস্থা ও ভালোবাসা দিয়েছেন, তা আমাকে আরও দায়িত্বশীল করেছে। আমি সর্বদা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে চাই, যাতে এই অঞ্চলের মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারে।
তার সম্ভাব্য বদলির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কোম্পানীগঞ্জবাসী শূন্যতার অনুভূতি পাচ্ছেন। অনেকে কাঁদছেন, অনেকে স্মৃতিচারণ করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এমন সৎ ও সাহসী পুলিশ অফিসার আর কখনো আসবেন না।
ওসি রতন শেখ যেখানেই যান, তার সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করে যাবেন-এমনটাই প্রত্যাশা কোম্পানীগঞ্জবাসীর।



