বিভাগীয়সারাদেশস্থানীয়

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাই ও খসড়া তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে বিএনপি।

এরই অংশ হিসেবে কাল রবিার সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে বসছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেলা তিনটায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে এই বৈঠক হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৯টি আসনে দলের শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক মাস ধরেই সিলেটের ১৯টি সংসদীয় আসনে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সক্রিয় আছেন। প্রতিটি আসনেই একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁরা তৃণমূলে নিজেদের শক্তি জানান দিতে প্রায় প্রতিদিনই বড় ধরনের সমাবেশ ঘটাচ্ছেন। এতে স্থানীয় পর্যায়ে দলের ভেতরে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব-বিভেদও তৈরি হয়েছে।

একই সূত্রের তথ্যানুযায়ী, সিলেট বিভাগের প্রার্থী নির্ধারণ ও যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মূলত সব মনোনয়ন

প্রত্যাশীকে ডেকে কথা বলার জন্যই বৈঠকটি তিনি আহ্বান করেছেন। বৈঠক থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ বার্তা দেওয়া হবে, দল সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে যখন একক প্রার্থী ঘোষণা দেবে, তখন সব মনোমালিন্য ভুলে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের অবস্থা করুণ থাকায় ঢাকামুখী নেতাদের প্রায় সবাই নিয়েছেন বিমানের টিকিট। বৈঠকে প্রতিটি আসনের প্রার্থীর সাংগঠনিক অবস্থা, ভোটার সংযোগ, মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তা ও স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা পর্যালোচনা করা হবে।

মাঠে সক্রিয়সহ বিভাগের ১৯টি আসনের শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী এখন ঢাকামুখী। গুটিকয়েক ছাড়া বাকি সবাই যাবেন বিমানে। সড়কপথে যারা যাওয়ার কথা গতকাল শুক্রবার রওনা দিয়েছেন। দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর

সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে সিলেট বিএনপির কেন্দ্রীয়

প্রার্থীদের সাংগঠনিক অবস্থা, ভোটার সংযোগ, মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তা ও স্থানীয় জনসম্পৃক্ততা পর্যালোচনা করা হবে

সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র এবং এবারের মনোনয়ন প্রত্যাশী জিকে গউছের নাম্বারে ফোন করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তার ঘনিষ্ঠরা জানান, ঢাকায় তলবের খবর পেয়েই তিনি ঢাকা চলে গেছেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন।

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকায় কাজ করছেন। করোনা মহামারি, বন্যাসহ ভোটারদের বিভিন্ন সমস্যায় তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। বৈঠকে তিনিও যোগ দেওয়ার দাওয়াত পেয়েছেন।

মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মুঠোফোনে জানান, ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের দুইবারের নির্বাচিত বিএনপি নেতা কলিম উদ্দিন মিলনও ঢাকায় ছিলেন। ফোন ধরে জানালেন তিনি ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরছেন। কাল রোববারের সাক্ষাৎকারের জন্য আবার যাবেন।

এদিকে এবারের সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা নেতা, যুবনেতা, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ডাটাবেজ ও অনলাইন স্কুটিনির মাধ্যমে প্রার্থীদের অতীত কার্যক্রম, ভোটার সংযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবস্থান, সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং জনসম্পৃক্ততা যাচাই করা হচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দল একটি স্বচ্ছ ও তথ্যভিত্তিক মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করতে চাইছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভাগীয় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

কেন্দ্রীয় সূত্র জানায়, প্রতিটি আসনে কেবল একজন প্রার্থীই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন এবং সব প্রার্থী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও সক্রিয় থাকতে হবে।

সূত্র অনুযায়ী, সিলেট-১ থেকে সিলেট-৬, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিমানযোগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট নিয়েছেন। বৈঠকে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সম্ভাব্য মনোনয়ন, নির্বাচনী কৌশল ও দলীয় নগর সমাচার ২৪: বিএনপির সভাপতি সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও নগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও’ এমএম হকপুত্র ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম।

সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট): বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সাবেক সাংসদ ও বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল হাকিম চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন আহমদ ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা আব্দুল হক।

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট): জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন), সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপি’র সভাপতি জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশিক চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ভিপি মাহবুবুল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সহ-সভাপতি শরিফ লস্কর, হারিছকন্যা সামিরা তানজিন চৌধুরী ও ফাহিম আল চৌধুরী।

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার): বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির

সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক উপদেষ্টা অহিদ আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামরুল হাসান শাহীন, জাসাসের কেন্দ্রীয় সভাপতি চিত্রনায়ক হেলাল খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা খান ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়ার মেয়ে সৈয়দা আদিবা হোসেন।

মৌলভীবাজার-১: জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন আহমদ মিঠু, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা শরীফুল হক সাজু। এ ছাড়া মনোনয়ন চাইছেন বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর কন্যা ব্যারিস্টার জহরত আবিদ চৌধুরী।

মৌলভীবাজার-২: কুলাউড়া উপজেলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শওকতুল ইসলাম শকু, যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রবাসী ড. সাইফুল আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুবায়ের আলী।

মৌলভীবাজার-৩: মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের বড় ছেলে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান এখন পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

মৌলভীবাজার-৪: শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন শিল্পপতি মো. মহসিন মিয়া মধু ও মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী হাজি (মুজিব)।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল): কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ

সুজাত মিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল নান্টু, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা তালহা চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা দেওয়ান মোকাদ্দিম চৌধুরী নিয়াজ, যুক্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা মুখলিছুর রহমান, নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ছাবির আহমেদ চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি এমএ রহিম।

হবিগঞ্জ-২ (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং)। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক

আহমেদ আলী মুকিব।

হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ):

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর): কেন্দ্রীয় সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও

জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার, জেলার সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মো. ফয়সল, খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং সৈয়দ মো. ফয়সলের ছেলে সায়হাম গ্রুপের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মো. ইশতিয়াক।

সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনে কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুল হক, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল মোতালিব খান সাবেক এম পি মরহুম নাজির হোসেনের সহধর্মিনী সালমা নাজির, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দী
নগর সমাচার ২৪: বিচারপতি মিফতা উদ্দিন চৌধুরী রুমি, অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পারেল, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগা সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধরী জাবেদ।

সাধারণ সম্পাদক সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ): যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধা বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস

সদস্য কয়ছর এম আহমদ, সহ-সভাপতি এমএ সাত্তার, মেজর (অব.) আসফাক শামী, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার

আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাজ্যের সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ কাহার। সুনামগঞ্জ-৪ (বিশ্বম্ভরপুর ও সদর): জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, সাবেক হুইপ মরহুম ফজলুল হক আসপিয়ার ছেলে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আবিদুল হক, হাছন রাজার বংশধর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান ওয়ান জয়নুল জাকেরিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) সদস্য এডভোকেট আব্দুল হক, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহসভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার): সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী

#nogorsomachar24 #BNP #BNPMediaCell #election

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button