

সিলেটের পর্যটনসমৃদ্ধ জৈন্তাপুর উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, পাহাড় কাটা এবং প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এবার সামাজিক প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিশেষ নির্দেশনায় তিনি এলাকাবাসীকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দেশনায় ইউএনও বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় কেউ যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাথর চুরি কিংবা পাহাড় কাটার মতো পরিবেশবিধ্বংসী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তবে তাদের তাৎক্ষণিক ধরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
শুধু ছবি বা ভিডিও নয়, প্রয়োজন প্রতিরোধ প্রকৃতি রক্ষায় কেবল ভার্চুয়াল সচেতনতা নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। তিনি উল্লেখ করেন, অপরাধ সংঘটিত হতে দেখলে শুধু ছবি বা ভিডিও ধারণ করে বসে থাকলে চলবে না, বরং স্থানীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের বুঝিয়ে বা প্রতিহত করে সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন সর্বদা জনগণের পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রশাসন বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
নির্দেশনায় একটি বিশেষ বি:দ্র:-এর মাধ্যমে তিনি ‘প্রশাসন’ শব্দটির ব্যাখ্যাও স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানান, এক্ষেত্রে প্রশাসন বলতে জৈন্তাপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO), সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বোঝানো হয়েছে।
অপরাধের শিকড় উপড়ে ফেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন,জৈন্তাপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সকলের সহযোগিতা কাম্য। মনে রাখবেন, দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন।
উপজেলা প্রশাসনের এই কঠোর বার্তা ও জনসম্পৃক্ততার আহ্বান স্থানীয় সচেতন মহলে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।



